আরো জানতে BLOG ভিজিট করুন।
Donate Now
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিং মাদ্রাসা।
আমাদের অর্থায়নের উৎস
প্রাথমিকভাবে পরিচালকের ব্যক্তিগত অর্থায়নে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বর্তমানে, আত্মীয়-স্বজন, ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানে আমাদের সকল কার্যক্রম সচল রয়েছে। তাঁদের উদার সহযোগিতা আমাদের পথচলাকে মসৃণ করেছে।
আমাদের মাদ্রাসার মূলনীতি: জ্ঞান, সেবা ও মানবতার পথেআমাদের এই মাদ্রাসাটি অন্ধ,এতিমদের আলোকিত আশ্রয়স্থল, যেখানে জ্ঞান অন্বেষণ, মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ এবং সেবার ব্রতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা বিশ্বাস করি, প্রকৃত শিক্ষা শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হৃদয় ও আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায় এবং সমাজের কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার প্রেরণা যোগায়।আমাদের মাদ্রাসার প্রধান লক্ষ্য হলো এতিম, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, দরিদ্র, মিসকিন এবং অসহায় শিশুদের জন্য শিক্ষার আলো নিশ্চিত করা। এখানে কোনো রকম ফি বা চাঁদা ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উচ্চমানের ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর মেধা ও সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দেই এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সার্বিক সহায়তা প্রদান করি।আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর, যেখানে প্রতিটি শিশু নিরাপদ, সম্মানিত এবং ভালোবাসার সাথে বেড়ে উঠতে পারে। তাদের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি। আমাদের শিক্ষকমণ্ডলী শুধু শিক্ষক নন, তাঁরা পথপ্রদর্শক এবং অভিভাবক হিসেবে কাজ করেন, যা শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।আমাদের মাদ্রাসার মূল ভিত্তি হলো মানবতার সেবা, সহমর্মিতা এবং নিঃস্বার্থতা। আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই মূল্যবোধগুলো প্রোথিত করতে চাই, যাতে তারা ভবিষ্যতে সমাজের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে।আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করা, যারা ইসলামী জ্ঞানের গভীরতার পাশাপাশি আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে এবং দেশ ও জাতির জন্য সম্পদ হয়ে উঠবে। আমরা তাদের মধ্যে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার বীজ বপন করি, যাতে তারা একটি উন্নত ও আলোকিত সমাজ গঠনে অবদান রাখতে পারে।
শিক্ষাচিকিৎসা
শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য ও আবাসনের ব্যবস্থা করা
আমাদের প্রতিজ্ঞা:
শিক্ষার সমতা: সকল শিশুর জন্য বিনামূল্যে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে অন্ধ,এতিম এবং যারা পিছিয়ে আছে।নৈতিক ও আত্মিক বিকাশ: ইসলামী মূল্যবোধ এবং সুনাগরিকের গুণাবলীতে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা।
সহানুভূতি ও সেবা: আর্তমানবতার প্রতি সংবেদনশীলতা তৈরি এবং সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করা।
সুরক্ষিত পরিবেশ: প্রতিটি শিশুর জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং সহায়ক শিক্ষাঙ্গন তৈরি করা।
আমরা এই মূলনীতিগুলো অনুসরণ করে একটি এমন মাদ্রাসার স্বপ্ন দেখি, যা শুধু জ্ঞান বিতরণের কেন্দ্র নয়, বরং একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান, যা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশকে সবল ও আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এতিমের মর্যাদা প্রসঙ্গে মহানবি (সা.) বলেন, বিধবা, এতিম ও গরিবকে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদকারীর সমান অথবা তার মর্যাদা (নামাজের জন্য) সেই রাত্রি-জাগরণকারীর মতো, যে কখনো ক্লান্ত হয় না। অথবা তার মর্যাদা সেই রোজাদারের মতো, যে কখনো ইফতার করে না (সহিহ মুসলিম : ৫২৯৫)
আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, তারা তো তাদের পেটে আগুনই ঢোকায়। তারা অচিরেই জাহান্নামের লেলিহান আগুনে প্রবেশ করবে (সূরা নিসা : ১০)। এতিম শিশুর সুরক্ষা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এতিমকে ধমক দেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। ইরশাদ হয়েছে, তিনি কি আপনাকে এতিম অবস্থায় পাননি এবং আশ্রয় দেননি? …তাই আপনি এতিমের প্রতি কঠোর হবেন না (সূরা আয্-যুহা : ৬, ৯)।সাহল ইবনু সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, এতিমের প্রতিপালনকারী ও আমি জান্নাতে এভাবে থাকব, এই বলে তিনি তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল দিয়ে পাশাপাশি উঁচিয়ে দেখান এবং এ দুয়ে সামান্য ফাঁক রাখেন (সহিহ বোখারি : ৫৩০৪)।
Images
Videos

