আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিন প্রকার আমল ছাড়া। ১. সদাকাহ জারিয়াহ্ ২. এমন ইলম বা জ্ঞান যার দ্বারা অন্যের উপকার হয় ৩. পুণ্যবান সন্তান যে তার জন্যে দু’আ করতে থাকে’।
(সহীহ্ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৩১)
দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী এতিমখানা মাদ্রাসা কর্তৃক গৃহীত সকল সাদাকায়ে জারিয়াহমূলক কার্যক্রম
কোরআনুল কারিমে আলাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত ওয়া ইন্নামা তুয়াফ্ফাওনা উযুরাকুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি—–ইলা মাতাউল গুরুরি’। অর্থাৎ প্রত্যেক জানদার ব্যক্তি মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হবে। একমাত্র সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোকার সামগ্রী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৮৫)।
সাদকায়ে জারিয়াহ-
এ ব্যাপারে কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়।
আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুষ্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ১২)
১. প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর দফতরে লিখে নেওয়া হয়;
২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে;
৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে।এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না-
২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে;
৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে।এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না-
১. সাদকায়ে জারিয়া;
২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও
৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম মানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে।
২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও
৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম মানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে।